কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো সতর্ক করে বলেছেন, কানাডীয়দের জন্য ২০২৩ সাল হবে খুব কঠিন। ২০০৮ সালের পর ব্যাংক ঋণে সুদের হার বাড়িয়ে সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিয়ে গেছে ব্যাংক অব কানাডা।
আয় বাড়েনি, তবে মুদ্রাস্ফীতি বেড়েই চলেছে। সুদের হার ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি প্রবাসীদের মধ্যেও বিরূপ প্রভাব ফেলেছে। নিম্নবিত্তদের জন্য চালু করা ফুড ব্যাংকে দীর্ঘ হচ্ছে লাইন।
সম্প্রতি কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ২০২৩ সাল হবে কানাডীয়দের জন্য কঠিন সময়। একসঙ্গে এর মোকাবেলা করতে হবে। প্রত্যক্ষ সরকারি সহায়তা নিয়ে তিনি জনগণের পাশে থাকার আশ্বাসও দিয়েছেন।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল-আইএমএফ সতর্ক করে বলেছে, জি-সেভেন এর দেশগুলোর প্রবৃদ্ধি ভালো হলেও কানাডা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। আর্থিক মন্দা থেকে নাগরিকদের সুরক্ষায় নানা পদক্ষেপ নিয়েছে ট্রুডো সরকার।
এরমধ্যে মধ্যে সাপ্লাই চেইন শক্তিশালী করা, সগজলভ্য চাইল্ডকেয়ার, জিএসটি রিবেট, রেন্টাল সাপোর্ট ও নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য ডেন্টাল কেয়ার সহায়তা। কানাডার ‘নতুন দেশ’ পত্রিকার প্রধান সম্পাদক শওগাত আলী সাগর বলেন, সব ধরনের জিনিসপত্রের দামই বাজারে বাড়ছে, সরকার নিয়ন্ত্রণের নানা রকম চেষ্টা করছে, কিন্তু সেটি যে খুব বেশি কাজ করছে তা মনে হচ্ছে না।
ইনফ্লেশন নিয়ন্ত্রণের জন্য ব্যাংক সুদের হার বাড়াতে বাড়াতে সাম্প্রতিক সময়ে সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিয়ে আসা হয়েছে। সেটি নাগরিকদের উপরে একটি বাড়তি চাপ তৈরি হয়েছে। ফলে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, ইনফ্লেশন এবং সে অনুপাতে আয় না বাড়ার কারণে ২০২৩ সাল নিয়ে নাগরিকদের মধ্যে একধরনের আতঙ্ক শুরু হয়েছে। মানুষ ভাবতে শুরু করেছে সামনে কি হবে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।